আজ- শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Shotto Barta Logo

শিরোনাম

নাটোরে মনোনয়পত্র প্রত্যাহার করলেন প্রতিমন্ত্রী’ শ্যালক রুবেল

ডেস্ক নিউজঃ

প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল মনোনয়পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোনো মন্ত্রী, সংসদ সদস্যের আত্মীয়-স্বজন নির্বাচন করতে পারবে না। সেই আলোকেই এই সিদ্ধান্ত। 

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ কাছে এসে প্রার্থী লুৎফুর হাবীব রুবেলের পক্ষে প্রত্যাহার পত্রটি জমা দেন তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিনহাজ উদ্দিন।

”দৈনিক  দৈসিক সত্যবার্তা “ কে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ।

প্রত্যাহার পত্রে জানানো হয়, আমি মো. লুৎফুল হাবীব সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- ২০২৪ইং এ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করি। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কারণে আমার নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

অতএব, বিধায় প্রার্থনা এমতাবস্থায় আমার জমাকৃত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন পত্রটি প্রত্যাহার পূর্বক আমাকে উক্ত নির্বাচন হতে সরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিতে মর্জি হয়।

এরআগে সকালে এক ভিডিও বার্তায় লুৎফুর হাবীব রুবেল তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই প্রত্যাহারপত্রটি জেলা নির্বাচন অফিসে জমা দেওয়া হয়।

ভিডিও বার্তায় লুৎফুল হাবিব রুবেল বলেন, সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোনো মন্ত্রী, সংসদ সদস্যের আত্মীয়-স্বজন নির্বাচন করতে পারবে না। তারই আলোকে এই ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনা অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র (প্রত্যাহার) করে নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমি ২০০২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে রয়েছি। ২০০৫ সালে সিংড়া গোল-ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছি। গত ৩ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করি। ইউনিয়ন পরিষদের পর পর তিন বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। গত ৮ তারিখে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র সাবমিট করি। তারপর থেকে যেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন মহল সক্রিয় আছে।

এ বিষয়ে জানতে লুৎফর হাবীব রুবেলের মোবাইলে কল করলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

গত ৩ এপ্রিল তিনি শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হন। তার আগে গত (১৯ এপ্রিল) সকালে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলকে ফোনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) লুৎফুল হাবীব রুবেলকে শোকজ করে।

গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য দেলোয়ার হোসেন ব্যাংকে জামানতের টাকা জমা দেওয়ার জন্য বের হন। এ সময় তারা জরুরি প্রয়োজনে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে গেলে সেখান থেকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন দুবৃত্ত আলাউদ্দিন মুন্সিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দেলোয়ার হোসেন নির্বাচন অফিস থেকে নেমে আসলে তাকেও একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে নেয়।

শেয়ার করুন :

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

এই রকম আরোও খবর

সাক্ষাৎকার