আজ- শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Shotto Barta Logo

শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেন থেকে পড়ে নিহত-১

সত্যবার্তা ডেস্ক:

 

গত ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষ্যে, রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সহ সাধারণ মানুষ জনসভা সফল করার লক্ষ্যে দলে দলে যোগদান করেন।

 

তারই ধারাবাহিকতায়, নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের ৩ নং ওর্য়াডের কেশবপুর গ্রামের মৃত গোলজার সরকারের ছেলে মুসা সরকার (৩৫) তিনি সহ, সেই গ্রামের অনেকেই বাসে করে রাজশাহীর জনসভার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

 

জনসভা শেষে নিহত মুসা ও সুজন এবং রওশন তাঁরা ৩ জন বাসে করে না এসে, ট্রেনের ছাদে করে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর মুসা সুজন কে বলে তার এক বিয়াই ট্রেনের ভিতরে আছে তার সঙ্গে দেখা করে সে আসছে। পরে আড়ানী ও আব্দুলপুর রেল স্টেশনের মাঝামাঝি গিয়ে সুজন জানতে পারে ট্রেন থেকে একজন পড়ে গেছে। তখন সুজন মুসা কে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মুসা কে ফোন দিলে অপরিচিত একজন ফোন রিসিভ করে বলে যে মুসা রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন।

 

ছাতনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ দুলাল সরকার বলেন, রবিবার সকাল ৯ টার সময় তাঁরা সবাই একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে বাসে করে রওনা হয়। জনসভা শেষে মুসা কে ফোন দিলে তিনি বলেন যে তাঁরা কখনো ট্রেনে উঠেনি তাই তাঁরা ট্রেনে করে বাড়ি ফিরবে। পরে তিনি বাড়ি ফিরে জানতে পারেন মুসা ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

 

এরপর তিনি নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শিমুল কে বিষয়টি অবগত করেন, সাংসদ শিমুল খবর পেয়ে মুসার চিকিৎসার জন্য সঙ্গে সঙ্গে ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন ও রাজশাহী মেডিকেলে সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং সোমবার সকালে মুসার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে সাংসদ নিজে রাজশাহী মেডিকেলে যান এবং রেলওয়ে পুলিশের যে আইনি ঝামেলা সেটা মিটিয়ে মরদেহ বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এরপর আরো ১৫ হাজার টাকা প্রদান করেন তার দাফন-কাফন সম্পন্ন করার জন্য।

 

স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, মৃত মুসা ১৪/১৫ বছর বয়স থেকে আওয়ামী লীগের মিছিল মিটিং বা যে কোন আন্দোলন সংগ্রামে সবসময়  অংশগ্রহণ করে থাকেন। সে দিনমজুর ছিলেন কিন্তু আওয়ামী লীগ কে মনে প্রানে ধারণ করতেন, তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ একজন ত্যাগী কর্মীকে হারালেন। মুসার স্ত্রী ও একটি ৭ বছরের শিশু (ছেলে) সন্তান রয়েছে, তাই এলাকাবাসীর দাবি আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারকরা তার এই অসহায় পরিবারের পাশে যেন দাঁড়ায়।

শেয়ার করুন :

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin

এই রকম আরোও খবর

সাক্ষাৎকার