মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের সহযোগিতা চাইবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রসিকিউশন।

আজ মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, 'প্রসিকিউশন এখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের নোটিশ চেয়ে দণ্ডের আদেশের ভিত্তিতে সংশোধিত আবেদন জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।'

জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলায় গতকাল সোমবার শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে তাদের পলাতক হিসেবে উল্লেখ করা হয় রায়ে।

একই মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম বলেন, 'শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফিরিয়ে আনতে আগের করা আবেদনটি হালনাগাদ করে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নতুন করে জমা দেব।'

তামিম আরও জানান, ট্রাইব্যুনালের রায়ে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে—রায়ের অনুলিপি প্রসিকিউশনকে এবং যারা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তাদের সরবরাহ করতে হবে। পলাতক দণ্ডপ্রাপ্তরা আত্মসমর্পণ করলে বা ৩০ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার হলে বিনা খরচে রায়ের কপি পাবেন।

তিনি আরও জানান, রায়ের আরেকটি কপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

গতকাল রায়ের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেশে ফেরত পাঠাতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, 'আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন অবিলম্বে দণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই ব্যক্তিকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।'