লালমনিরহাটে ‘গায়েবি মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় 'গায়েবি মামলা' দেওয়ার অভিযোগ করে তা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ মুসরত মদাতির বটতলা এলাকায় লালমনিরহাট–বুড়িমারী মহাসড়কে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে মামলার অভিযুক্তদের স্বজনসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক মানুষ অংশ নেন।ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, গত ১২ নভেম্বর কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন। এতে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত...
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় 'গায়েবি মামলা' দেওয়ার অভিযোগ করে তা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ মুসরত মদাতির বটতলা এলাকায় লালমনিরহাট–বুড়িমারী মহাসড়কে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এতে মামলার অভিযুক্তদের স্বজনসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, গত ১২ নভেম্বর কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন। এতে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে ১১ নভেম্বর রাতে নাশকতার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হলেও এলাকাবাসীর দাবি, ওই রাতে এলাকায় এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাদের অভিযোগ—পূর্বশত্রুতা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিছু নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে মামলাটি করা হয়েছে।
মানববন্ধনে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মতিন বলেন, 'এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো মামলা। উল্লিখিত ঘটনার কিছুই এখানে ঘটেনি। সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এমন মামলা দেওয়া হয়েছে। এখন একটি পক্ষ পুলিশের সহযোগিতায় চাঁদাবাজি করতেও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।'
স্থানীয় ব্যবসায়ী আসাদ আলী বলেন, 'যাদের প্রভাব আছে, মামলায় তাদের নাম নেই। অথচ যারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন তাদের নাম দেওয়া হয়েছে। এটা চরম অন্যায়।'
মামলায় অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার মেজবাউদ্দিন বিপ্লব বলেন, 'মামলায় যে তারিখের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে, সেদিন আমি ঢাকায় ছিলাম এবং ঘটনার আগের কয়েকদিন ধরেই ঢাকায় অবস্থান করছিলাম। তারপরও আমাকে আসামি করা হয়েছে। চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে আমার নাম জড়ানো হয়েছে।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। কারও নাম অযথা যুক্ত করা হয়েছে—এমন কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। তবে তদন্তে যদি কেউ নিরপরাধ প্রমাণিত হন, তাহলে তাকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হবে।'