মৎস্য চাষিদের বিদ্যমান নানা সমস্যার সমাধানে নিরাপদ মাছের ফিড ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাজারে নজরদারি আরও বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। 

তিনি বলেন, অনিরাপদ ফিড ও ওষুধ ব্যবহার হলে উৎপাদিত মাছ মানুষ খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তাই অনিরাপদ ফিড বাজারে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

শনিবার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মৎস্য অনুষদ আয়োজিত আন্তর্জাতিক মৎস্য সম্মেলন এবং প্রদর্শন-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। 

ফরিদা আখতার বলেন, দেশের মানুষের মোট মাছের চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ পূরণ হয় শুধু রাজশাহীতে উৎপাদিত মাছ থেকে। বিশেষ করে এ অঞ্চলে উৎপাদিত কার্পজাতীয় মাছের দেশের মানুষের কাছে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাঙালি জনগোষ্ঠীর কাছেও এই মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই বিপুল চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরকার বিশেষ করে কার্পজাতীয় মাছ বিদেশে রপ্তানির বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, খাল-বিল, নদী-নালা, হাওর-বাওরে প্রাকৃতিকভাবে মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি কৃত্রিমভাবে মাছ চাষের পরিধি বাড়ানো উচিত। তবে প্রাকৃতিকভাবে মাছ উৎপাদন যেন বন্ধ করা না হয়, এ ব্যাপারেও চাষিদের সজাগ থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক কপ সম্মেলনেও বিশ্বব্যাপী মাছ উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে পুকুরের মাছ তাপ সহ্য করতে না পারায় মারা যাচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিকভাবে যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে, সেগুলো শিখে নিতে হবে এবং মাছের বেঁচে থাকার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

উপদেষ্টার আরও বলেন, মৎস্য চাষ নীতি প্রণয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি চাষিদের করণীয় বিষয়গুলো স্পষ্ট করবে এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধান সহজ হবে।

এ সময় তিনি ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি কৃষি জমিতে পুকুর খনন না করে অনাবাদি জমিতে পুকুর খনন করে মৎস্য চাষ করার পরামর্শ দেন।