নরসিংদীর পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়নের জন্য ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল হান্নানকে 'তিরস্কার' দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সই করা রোববারের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বিভাগীয় তদন্তে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

তদন্তে জানা যায়, ২০২৩ সালে নরসিংদীর এসপি হিসেবে পদায়ন পাওয়ার জন্য রবিউল মুন্সী নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তবে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে রবিউল তাকে নরসিংদীতে পদায়নের ব্যবস্থা করে দিতে পারেননি।

পরবর্তীতে হান্নান নরসিংদীর এসপি হিসেবে যোগ দেন এবং তার অধস্তন কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক এসএম কামরুজ্জামানকে নিয়ে অনুমতি ছাড়া ঢাকার মনিপুরীপাড়া এলাকায় রবিউলের অফিসে যান। সেখানে তারা রবিউলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে ৫ লাখ টাকা নেন এবং বাকি ৪৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা নেন।

তদন্তে আরও উঠে আসে, যুগান্তরের সাংবাদিক নেসারুল হক খোকনের সঙ্গে এক ফোনালাপে হান্নান নিজেই স্বীকার করেন যে তার বদলি প্রক্রিয়ায় এই অনিয়ম হয়েছে এবং তিনি ব্যক্তিগত কাজে অধস্তন পুলিশ সদস্যদের ব্যবহার করেছেন।

এসব তথ্য প্রকাশের পর মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে শাস্তিমূলক প্রক্রিয়া শুরু করে। হান্নান এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেন এবং ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন—যা গত ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত জবাব, শুনানি ও প্রমাণাদি পর্যালোচনার পর হান্নানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এ ঘটনায় শাস্তি হিসেবে হান্নানকে 'তিরস্কার' দণ্ড দেওয়া হয়েছে।