কক্সবাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ‘পাহাড়ি’ বাজার
মঙ্গল ও শনিবার, কক্সবাজার শহরের বার্মিজ স্কুলের পাশের রাস্তায় গেলেই নজর কাড়বে যে কারো। রাস্তার দুই পাশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষরা, যাদের অধিকাংশই নারী, থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন শাক, সবজি, ফল, মিষ্টি আলু, কুমড়া কিংবা নানা পদের পাহাড়ি ধাঁচের পিঠা।সমুদ্র পাড়ের শহরটিতে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই পাহাড়ি পণ্যের বাজারের অধিকাংশ বিক্রেতাই পাশের জেলা বান্দরবান থেকে আসা। নিজেদের পণ্যের পসরা নিয়ে সপ্তাহে ওই দুটো দিন সাদামাটা গোছের এই বাজার সাজিয়ে বসেন তারা।ভোরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে এ 'পাহাড়ি' বাজারে নিজ...
মঙ্গল ও শনিবার, কক্সবাজার শহরের বার্মিজ স্কুলের পাশের রাস্তায় গেলেই নজর কাড়বে যে কারো। রাস্তার দুই পাশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষরা, যাদের অধিকাংশই নারী, থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন শাক, সবজি, ফল, মিষ্টি আলু, কুমড়া কিংবা নানা পদের পাহাড়ি ধাঁচের পিঠা।
সমুদ্র পাড়ের শহরটিতে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই পাহাড়ি পণ্যের বাজারের অধিকাংশ বিক্রেতাই পাশের জেলা বান্দরবান থেকে আসা। নিজেদের পণ্যের পসরা নিয়ে সপ্তাহে ওই দুটো দিন সাদামাটা গোছের এই বাজার সাজিয়ে বসেন তারা।
ভোরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে এ 'পাহাড়ি' বাজারে নিজের পণ্য বিক্রি করতে আসেন টাং থো। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি জানান, এসব পণ্য তাদের নিজেদের জমিতে উৎপাদিত অথবা পাহাড়ি এলাকা থেকে সংগ্রহ করা।
বান্দরবানের লামা উপজেলা থেকে আসা নারী বিক্রেতা মাচে সিং দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা দূরের এলাকা থেকে আসি, তাই খুব বেশি দাম কমাতে পারি না। এক দিনে সাধারণত এক থেকে দেড় হাজার টাকা আয় হয়।'
কক্সবাজারের রাখাইন সম্প্রদায়ের স্থানীয়রা এই বাজারের প্রধান ক্রেতা। সেই সঙ্গে অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এমনকি বাঙালিরাও এই বাজার থেকে কেনাকাটা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখানকার সবকিছুই জৈব এবং কেমিক্যালমুক্ত।'
এছাড়া, বাজারে পলিথিনের ব্যবহার খুবই কম। পণ্যগুলো কলাপাতা ও কলাগাছের ছাল দিয়ে বেঁধে বাঁশের ঝুড়িতে রাখা হয়। ক্রেতারাও নিজেদের ব্যাগ সঙ্গে নিয়ে আসেন।
এখানে নির্দিষ্ট ওজন বা দরে পণ্য বিক্রি হয় না। ক্রেতা–বিক্রেতা দরদাম করে মূল্য ঠিক করেন। তবে তা সহনীয় পর্যায়ে থাকে।
কিছু বাঙালি ব্যবসায়ীও এখানে শুঁটকি বিক্রি করেন।
কক্সবাজার পৌরসভার কর্মচারী মং ওয়ান রাখাইন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০২২ সালের দিকে কয়েকজন পাহাড়ি নারী এখানে বসা শুরু করেন। ধীরে ধীরে এই পাহাড়ি বাজারটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এখন সপ্তাহে দুই দিন প্রায় ৩০–৩৫ জন বিক্রেতা আসেন।'