হাতিয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ওছখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম এবং সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।আজিমের অনুসারী হাতিয়া উপজেলা বিএনপির নেতা আলাউদ্দীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নোয়াখালী–৬ আসনে ফজলুল আজিমকে প্রার্থ...
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ওছখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম এবং সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
আজিমের অনুসারী হাতিয়া উপজেলা বিএনপির নেতা আলাউদ্দীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নোয়াখালী–৬ আসনে ফজলুল আজিমকে প্রার্থী করার দাবিতে তার সমর্থকেরা শনিবার সন্ধ্যায় মশাল মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ওছখালীতে আয়োজিত ওই কর্মসূচিতে অংশ নিতে তমুরদ্দি এলাকা থেকে আজিমের অনুসারীরা আসছিলেন। সেসময় শামীমের সমর্থকেরা তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে আমাদের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে আজিম অনুসারীরা একত্রিত হয়ে ধাওয়া দিলে শামীমের অনুসারীরা পালিয়ে যায়।'
এদিকে শামীমের অনুসারী হাতিয়া পৌরসভা যুবদলের সদস্যসচিব কাউছার মোস্তফা বলেন, 'ওছখালী বাজারের রেডট্রি হোটেলের সামনে থেকে ধানের শীষের সমর্থনে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। সেসময় তমুরদ্দি থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আজিম অনুসারীরা একটি মিছিল নিয়ে ওছখালী বাজারে আসে। একপর্যায়ে ওছখালী বাজার মোড়ে দুটি মিছিল মুখোমুখি হলে আজিম অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।'
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম আজমল হুদা ডেইলি স্টারকে বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ-সাতজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। খবর পেয়ে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে হাতিয়া শহর শান্ত রয়েছে।